রাজনৈতিক হুক্কাহুয়াবেদক
তারেক রহমানের গুপ্তকেশ উৎপাটনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল মন্ত্রীসভার এক বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ব্রিফিং করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ম খা আলমগীর। তিনি বলেন, “বাংলাদেশর সংবিধানের একটি সুষ্পষ্ট ধারা মতে কোন ব্যক্তি তার গুপ্ত কেশ ২ ইঞ্চির বেশী লম্বা রাখতে পারেন না। সরকার গোপন সূত্রে জানতে পেরেছে, তারেক রহমান গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানকালে তার গুপ্তকেশ কামান নাই। ফলে তার গুপ্তকেশ কমপক্ষে একফুট দৈর্ঘ্য অতিক্রম করেছে। তার এই সুদীর্ঘ গুপ্তকেশ বৃহত্তর আওয়ামী মুসলিম লীগের হিন্দু শাখা ও বৃহত্তর জামাতের সাবেক মিত্র আওয়ামী লীগের চেতনা ব্যবসার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরুপ। এছাড়া এটি যুদ্ধাপরাধের বিচারকেও বাঁধাগ্রস্ত করতে পারে।” সরকার মনে করে তারেক রহমানের গুপ্তকেশের দৈর্ঘ্য বাড়তে থাকলে তা সরকারের জন্য বিড়াট হুমকি হয়ে দাড়াতে পারে। ‘তাই সরকার তারেক রহমানের গুপ্তকেশ উৎপাটনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে’, বলেন, ম খা আলমগীর।
ওদিকে হুক্কাহুয়া নিউজ নেটওয়ার্কের অন্যতম সদস্য দ্যা ডেইলি স্টার জানিয়েছে তারেক রহমান তার গুপ্তকেশ ২ ইঞ্চির বেশী লম্বা রাখবেন না প্রতিশ্রুতি দিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান। সম্প্রতি তারেক রহমান তার সেই অবস্থান থেকে সরে এসে সরকারকে তার দীর্ঘ গুপ্তকেশ প্রদর্শন করেন। তারেক রহমানের এই কেশ দেখে অন দ্যা স্পষ্ট অজ্ঞান হয়ে যান মন্ত্রীসভার কয়েকজন ডাক সাইটে মন্ত্রী, এমন কি আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। তাদের মধ্যে সারা জীবন ভোটে জামানত খোয়ানো কিন্তু আওয়ামী লীগের নৌকায় চড়ে একলাফে মন্ত্রী হওয়া দু’জন প্রতিক্রিয়াশীল বাম রাজনৈতিক নেতাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার পরপরই সরকারে উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে মন্ত্রী সভার বৈঠক আহবান করা হয়। মন্ত্রী সভার এই বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তারেক রহমানের গুপ্তকেশকে আর বাড়তে দেবে না সরকার। যে কোন মূল্যে তারেক রহমানের গুপ্তকেশ ঠেকানোর কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মন্ত্রীসভা।