Archive for ‘আন্তর্জাতিক’

June 10, 2013

পদার্থ বিদ্যার নূতন সূত্র আবিস্কার করেছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ম খা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হুক্কাহুয়াবেদক
পদার্থবিদ্যার এক জটিল সূত্র উদ্ভাবন করে নুবেল বাজিমাৎ করার উপক্রম করেছেন বাংলাদেশের প্রতিভাবান বিজ্ঞানী মখা আলমগীর। বিশ্বের সমস্ত বাঘা বাঘা পদার্থবিদ মিলে এতোকাল যা পারেননি, তাই যেন করে দেখালেন ম খা আলমীগর। যে তত্ব গোপন ছিল এতোকাল- বছরের পর বছর ধরে বহু গবেষণা করে তাই বের করেছেন সাবেক তঘমায়ে পাকিস্থান, রাজাকারে* খাস- এই মহান বিজ্ঞানী। অথচ সারা জীবনে তিনি বিজ্ঞান পড়ার সুযোগ পান নাই। বিজ্ঞান পড়ার সুযোগ না হলে কি হবে- এই তঘমায়ে পাকিস্থানের ভেতর ঠিকই লুকিয়ে ছিল জলন্ত প্রতিভা। আর তাই ঠিকরে বেরিয়ে পড়েছে পড়ন্ত যৌবনে এসে।

ম খা বহু গবেষণা করে আবিস্কার ও প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, কোন একটি বহুতল ভবন ধ্বসে পড়ার হার সেই ভবনে প্রযুক্ত মৌলবাদী বিরোধী কর্মীদের নাড়াচাড়ার বর্গের সমানুপাতিক। মখা জানানা দীর্ঘদিন ধরে এই সূত্র আবিস্কার বিষয়ে গবেষণা করে আসছিলেন। কিন্তু সাফল্য তাকে ধরা দিচ্ছিলো না। হঠাৎই ২৪ এপ্রিল তারিখে মৌলবাদী বিএনপি’র কিছু গোয়ার কর্মী রানা প্লাজা নামক ভবন নাড়াচাড়া করে ফেলে দেওয়ার পর তার সূত্র আবিস্কারের পথটি পরিস্কার হয়ে যায়। তার সমস্ত সাধনা সাফল্য হিসেবে ধরা দেয়। তিনি প্রমাণ করে দেখিছেন, কোন একটি ভবন ধ্বসে পড়ার জন্য মৌলবাদী বিএনপি’র অশূভ শক্তি দায়ী।তার এই সূত্র The Theory of Horizontal Shaking বা ম খা’র উলম্ব নাড়াচাড়া সূত্র নামে পরিচিত হবে।

Theory_Of_Horizontal_Shaking

ম খা’র নাড়াচাড়া সূত্র

সমালোচকরা বলছেন, ম খার এই আবিস্কার পদার্থ বিদ্যার ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিতে বাধ্য। পদার্থবিদ্যার ইতিহাসে এ এক যুগান্তকারী আবিস্কার। ইতিপুর্বে অ্যারিস্টটল, নিউটন, প্যাসকেল, গ্যালিলিওসহ বহু বিজ্ঞানী পদার্থবিদ্যা নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন। তারা আবিস্কার করেছেন বহু নূতন নূতন সূত্র। কিন্তু ম খা যা আবিস্কার করেছেন, তা একদমই আনকোড়া। ম খার এ আবিস্কার মৌলিকত্বের দাবী রাখে। ম খা যা আবিস্কার করেছেন- ইতিপূর্বে কোন বিজ্ঞানী কেন- কোন বিজ্ঞানীর বাপও তা আবিস্কারের চিন্তা করতে পারেন নাই।

Mohiuddin_Khan_Alamgir0101

নিজের আবিস্কৃত সূত্রের ব্যাখা দিচ্ছেন ম খা

বিজ্ঞানী ম খা’র এই নতূন সূত্র আবিস্কার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইংরেজি সাহিত্যে পড়ে বিজ্ঞানী হয়েছের এমন একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী জনাব আবুল মাল বলেন, ম খা’র এই আবিস্কার তেমন কিছু না। রাবিশ। ম খা’র চেয়ে বড় বড় সূত্র আমি আবিস্কার করে রেখেছি বহু আগে। কিন্তু পাব্লিক আমারে নুবেইল দেওয়ার কথা বলে না, বলে ম খা’র কথা। পাব্লিকে চায়, তাই আমি কিছু মনে করি নাই। মাল বলেন, যেহেতু পাব্লিক ডিমান্ড আছে, তাই আমরা সুইডেনে নুবেইল কমিটির সাথে যোগাযোগ  করবো। আমাদের বিজ্ঞানী মখা কর্তৃক আবিস্কৃত এই তত্ত্ব বিষয়ে নুবেইল কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। নুবেইল কমিটিকে বাধ্য করা হবে ম খা কে নুবেইল পুরস্কার দেওয়ার জন্য।

রাজাকার*- দেশপ্রেমিক

June 6, 2013

বাংলাদেশে ইনল্যান্ড কন্টেইনার পোর্ট নির্মান করিবে কেন্দ্রীয় সরকার

আন্তর্জাতিক হুক্কাহুয়াবেদক
ভারতের দক্ষিণ-পুর্বাঞ্চলী গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য বাংলাদেশে ইনল্যান্ড কন্টেইনার পোর্ট নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। গত মাসের শেষের দিকে এই বিষয়ে ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের দপ্তর দিল্লী টাইমস পত্রিকায় সংক্রান্ত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়াছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হইয়াছে ভারতের পুর্বাঞ্চলী রাজ্য বাংলাদেশের নায়ায়নগঞ্জে ইনল্যন্ড কন্টেইনার পোর্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আগ্রহী প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকগণই কেবল সম্ভাব্যতা যাচাই টেন্ডারে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন বলিয়া জানানো হইয়াছে। যাহারা টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিটি দিল্লী টাইমস পত্রিকা হইতে সংগ্রহ করিতে পারেন নাই, তাহাদিগকে ভারত সরকারের ওয়েব সাইট হইতে সংগ্রহ করিতে বলা হইয়ছে।

Inida

কেন্দ্রীয় সরকারের ইনল্যান্ড পোর্ট নির্মানের টেন্ডার আহ্বান

এইদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে এখনো অন্ধকারে রহিয়াছে রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, ও জলসম্পদ মন্ত্রী। জলসম্পদ মন্ত্রী শ্রী শাহজাহান চন্দ্রকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাস করা হইলে মন্ত্রী বলিয়াছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে তাহাকে কিছুই জানায় নাই কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশমন্ত্রী শ্রী দিপু মনিপুরীও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু জানিবার কথা অস্বীকার করিয়াছেন।

ওদিকে গতকাল রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্ট নির্মানের সিদ্ধান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকার অন্ধকারে কেন- এই বিষয়ে তুমুল বির্তক হইয়াছে। বিতর্কে অংশ নিয়াছেন রাজ্য সরকারের প্রভাবশালী সভাসদ শ্রী তোফায়েল চৌধুরি ও বিরোধী জোটের সভাসদ শ্রী মওদুদ মোহাম্মদ আহম্মদ। বিরোধী জোটের সভাসদ শ্রী মওদুদ মোহাম্মদ আহম্মদের অভিযোগের জবাবে রাজ্যসরকারের সভাসদ শ্রী তোফায়েল চৌধুরি বলিয়াছেন, আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের যে কোন সিদ্ধান্তের বিষয়ে বরাবরই আপনাদের চুলকানি ছিল, এখনো রহিয়াছে; অথচ আমাদের আজন্ম শত্রু চীন যদি আমাদের রাজ্যের কোন ক্ষতি সাধণ করিতে আসে- তখন আপনারা বরাবরই চুপ করিয়া থাকেন। এতেই প্রমাণিত হয় আপনারা চীনপন্থী, রাজ্যের শত্রু। আপনাদেরকে রাজ্যের মানুষ আগামী নির্বাচনে ভোট দিবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের আশীর্বাদে রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আছে, ক্ষমতায় থাকবে। রাজ্যের যা কিছু উন্নতি- তা কেন্দ্রীয় সরকারের হাত ধরিয়াই করিবে, দ্ব্যর্থকন্ঠে বলিয়াছেন শ্রী তোফায়েল চৌধুরি।

June 5, 2013

ম্যাচ ফিক্সিং বৈধ করা হোক: শ্রীশান্ত

খেলাধুলা হুক্কাহুয়াবেদক
ভারতীয় আইডল, ক্রিকেটের যীশুখ্যাত  শ্রীশান্ত দৈনিক হুক্কাহুয়ার সাথে এক একান্ত স্বাক্ষাৎকারে বলেছেন, ম্যাচ ফিক্সিং বৈধ করা হোক। তিনি বলেন, “আমরা বহু কষ্ট কইরা খেলি, কয়টা টাকা-ট্যুকার জন্যই খেলি। ম্যাচ ফিক্সিং হইলো অভার টাইমের মতোন; ডিউটির বাইরে ডিউটি করলে, যদি আলাদা টেকাট্যুকা পাওন যায়, তাইলে ম্যাচ ফিক্সিং কইরা পয়সা নিতে কি দুষ? ম্যাচ ফিক্সিং কইরা দুইটা পয়সা বেশী পকেটে তুলতে পারলে আমাগোই লাভ, তাতে কার কি ক্ষতি?”

‘টেকাট্যুকার জন্য খেলি’

শ্রীশান্ত আবেঘণ কন্ঠে বলেন, ”আমি বিয়া করছি, বৌ-সংসার আছে। ভবিষ্যতে পোলাপান হইবো। ভবিষ্যতের চিন্তা কইরা দুইটা পয়সা জমানোর দরকার আছে। আবার বৌয়ের আবদার আছে সামানে মাসে আম্রিকা-দুবাইতে শপিংয়ে যাইতে হইবো। ২২ ক্যারেটের ৪০ ভরি সোনার গহনা কিন্যা দিতে হইবো। হীরার লকেট লাগবো। দিল্লীতে একটা বাড়ী কিন্যা দিতে হইবো। দার্জিলিংয়ে একটা বাগানবাড়ী লাগবো- এতোসব কিছু করতে কি টেকাট্যুকা লাগে না? খেলাধুলা কইরা আর কয় টেকা পাই? আমি যদি ম্যাচ ফিক্সিং কইরা দুইটা পয়সা বেশী কামাইতে পারি, তাইলে কার কি ক্ষতি?”

শ্রীশান্ত বলেন, “অজিত চান্দেলা, অঙ্কিত চাওয়ান, আশরাফুল ওরা সবাই আমার ধর্মভাই। ওরা ম্যাচ ফিক্সিং কইরা কুন অন্যায় করে নাই। আমি আইসিসিকে বলতে চাই, ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংকে ‘অভার টাইম’ হিসেবে বৈধ ঘোসণা করা হোক। ওভারে কয় রান দেওয়া হইবো, তা খেলোয়ারগো ব্যাপার, এইডা খেলোয়ারগো হাতেই ছাইড়া দেওয়া হোক। হুদাই ম্যাচ ফিক্সিংরে অবৈধ কইয়া আমাগোর রুটি-রুজির ওপর এমুন আঘাত হানা বন্দ করা হউক।”