Archive for ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’

October 8, 2013

এসে গেলো থ্রিজি বেম্বু: আরো সহজে বাঁশ পাবেন মুবাইলপুন গ্রাহক

পুব আকাশের সূর্যটা পশ্চিমে ওঠে গেছে। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন। থ্রি জি ব্যাম্ব্যূ এসে গেছে। এখন থেকে মুবাইলপোন গ্রাহকরা আরো সহজে সেলপোন গংদের কাছ থেকে বাঁশ খেতে পারবেন। এতোকাল সেলপোন গং গ্রাহকরা ২জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাঁশ খেয়ে আসলেও, তা আইক্কাওয়ালা ৩জি বাঁশ ছিলনা। তাই সেলপোন অপারেটগুলি ঠিকমতো ব্যাম্ব্যূ দিতে পারে নাই। এ প্রসঙ্গে গ্রামীণপোনের খাঙ্কির পোলায়ে সিইও বলেন: “২জি তে আমরা গ্রাহকদেরকে বাঁশ দিলেও তা ছিল অপেক্ষাকৃত কম কঞ্চিওয়ালা। ওই বাঁশে আইক্কার পরিমানও ছিল কম। তাই ইচ্ছে থাকলেও সেলপোন অপারেটরগুলি গ্রাহকদেরকে যথেষ্ট মাত্রায় বাঁশ দিতে পারে নাই। ডিজি-টাল সরকার শেষ মুহুর্তে থ্রিজি লাইসেন্স দেওয়ায়, আমরা এখন গ্রাহকদেরকে আরো বেশী বাঁশ দিতে পারবো।”

3G_Bamboo

৩ জি বেম্ব্যু: সহজে পাবেন মুবাইল গ্রাহক

এদিকে থ্রিজির সুবিধা প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অ্যডভোকেট সাহারা খাতুন জানান, ‘মোবাইল ফোনে এখন যতো কিছু করা সম্ভব হচ্ছে ততোটা কি আগে কখনো করা গেছে?’ মুবাইল ফোনে কি করা যায়, জানতে চাইলে সাহারা বলেন, ’অনেক কিছু করা যায়। সামনের দিনগুলিতে মানুষ মোবাইল ফোনে আরো অনেক কিছু করতে পারবে। সবচেয়ে বড় কথা হল, মানুষ আরো সহজে মুবাইল পোনে থ্রিজি বেম্বু খেতে পারবে। আমরা বেম্ব্যু উন্মুক্ত করে দিয়েছি। মানুষ এখন আরো সহজে সেলপোন কোম্পানির বেম্ব্যু খেতে পারবে। আমরা মুবাইল পোন কম্পানিকে বাঁশ দেওয়ার ব্লাংক চেক দিয়া দিছি’

June 11, 2013

মোবাইলফোন ব্যান্ডউইথের দাম বাড়াবে বিটিআরসি

অবশেষে মোবাইল পোনে ব্যন্ডউথের দাম বাড়ানোর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে যাইতেছে সরদার-এ-সেলপোন অপারেটর, বিটিআরসি দ্যা ভারতীয় টেলিকম রিভাইবাল কমিশন। গত  ১ যুগেরও বেশী সময় ধরে পাব্লিকের পশ্চাৎদ্দেশে মোবাইল পোন ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাঁশ দিয়া আসা অভিজ্ঞ বাঁশ কারিগর বিটিআরসি তাহাদের পালিত পঙ্গপাল সেলপোন অপারেটরদিগের ইন্টারনেট পরিসেবার দাম বাড়াইবার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়াছে। ‘গ্রাহক কে আরো সহজে পোন দেওয়ার জন্যই এ সিদ্ধান্ত’– জানাইয়াছেন ভারতীয় টেলিকম রেগুলেটরি কমিশনের চুদিরম্যান শ্রী সুনীল কান্তি ঘুস।

এক পুর্বনির্ধারিত সংবাঁশ সম্মেলনে চুদিরম্যান শ্রী সুনীল কান্তি ঘুস কহেণ, গত  ১ যুগ ধরে আমরা এই দেশে পাব্লিকের পশ্চাদ্দেশে সেল পোন অপারেটরদিগ দিয়া  বাঁশ দিয়া আসিতেছি। আমরা যখন এই দেশে পাব্লিকরে বাঁশ দিতে শুরু করিয়াছিলাম, আপনারা জানেন তখন দেশে বাঁশ খাওয়ার মতো লোক ছিলো হাতে গোনা কয়েকজন। হাতে গোনা কয়েকজন পোন গ্রাহককে বাঁশ দিয়া আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করিতে পারিয়াছিলাম কারণ তখন গ্রামীণপোনের স্বপ্নদ্রষ্টা ফাদার ড. ইউনূস টেকাট্যুকা ছাড়াই গ্রামীণপোনের লাইসেন্স ম্যানেজ করিয়া দিয়াছিলেন। আর আমরা দিয়াছিলাম প্রতি মেগাবাইট পোন ইন্টারনেটের সাথে গ্রাহককে ২৫ টেকার পোন হিসাবে প্রতি গিটাবাইটে  ২৫,৬০০ টেকা পুন দিবার অবাধ সুযোগ। সেই মুতাবেক গত প্রায় এক দশক ধরিয়া গ্রামীণপোনের সাথে আরও কয়েকটি পোন অপারেটর পাব্লিককে তাহাদের সাধ্যমত মোবাইল ইন্টারনেট বিলের সাথে পোন দিয়া আসিতেছে।

BTRC_LOGO_3000

লগো: ভারতীয় টেলিকম রিভাইবাল কমিশন

কিন্তু এখন আর আগের রেটে মোবাইল ইন্টারনেটের পোন দেওয়া সম্ভব হইতেছে না। কারণ ব্যাখ্যা করিয়া চুদিরম্যান সুনীল কান্তি ঘুস বলিয়াছেন, “গত এক দশকে মোবাইল পোন ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা দুই লক্ষ হইতে বাড়িয়া দুই কুটি ছাড়াইয়াছে। বুঝিতেই পারিতেছেন, মোবাইল পোন ইন্টারনেটের চাঁহিদা বাড়িয়াছে। চাহিদা বাড়িলে, দামও বাড়িবে- ইহাই স্বাভবিক।”

এই প্রসঙ্গে গ্রামীনপোন CEO- দ্যা চুদিয়া নির্বাহী অফিসার প্রতিক্রিয়া জানাইয়া বলিয়াছেন, “ ‘চাহিদা বাড়িলে দাম বাড়িবে’- ইহাই পোননীতির বৈশিষ্ট্য। গ্রামীণপোন সেই যে ২০০০ সালে প্রতি মেগাবাইট ব্যন্ডউইথ ১ পয়সায় কিনিয়া তাহার মাত্র আড়াই হাজার গুণ দাম ২৫ টেকায় বিক্রি করিতো, তাহা এক দশক পরে আসিয়া তাহার মাত্র ত্রিশগুণ কম দামে ব্যন্ডউইথ কিনিয়া সেই ২৫ টেকায়ই বিক্রি করিতেছে। ইহাতে গ্রামীণপোনের বেপক লুকসান হইতেছে। ইহা ছাড়াও গ্রামীণপোনের মোবাইল পোন ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ২০০০ সালের কয়েক হাজার হইতে এখন কুটি হইয়াছে। এতো মোবাইল পোন ইন্টারনেট গ্রাহককে এতো কম দামে মোবাইল পোন ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে গিয়া গ্রামীণপোন বেপক হিমসিম খাইতেছে। আমরা বহু আগে হইতেই বিটিআরসি চুদিরম্যানকে ব্যন্ডউইথের দাম বাড়াইবার জন্য বলিয়া আসিতেছিলাম, কিন্তু চুদিরম্যান এতোদিন কানে শুনে নাই। চুদিরম্যানের মোবাইল পোনে ইন্টারনেট পরিসেবার দাম বাড়াইবার এই সিদ্ধান্ত হইতে ইহাই প্রমাণিত হয়, আমি গ্রামীণপোনের চুদিয়া নির্বাহী অপিসার যেই দাবী করিয়াছি এতোকাল- তাহাই ছিল সঠিক।

ওইদিকে গ্রামীণপোন চুদিয়া নির্বাহী অফিসারের এই প্রতিক্রিয়ার সাথে একাত্মতা ঘুসণা করিয়াছেন এয়ারটেল, রবি, সিটিচেলসহ অন্যান্য সকল সেলপোন অপারেটরদিগের চুদিয়া নির্বাহী অপিসারগণ। তাহারা এক বার্তায় জানাইয়াছেন, “এতোদিন পর  বিটিআরসি দ্যা ভারতীয় টেলিকম রিভাইবাল কমিশন মোবাইল পোন অপারেটরদিগের জন্য একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে।”

June 10, 2013

পদার্থ বিদ্যার নূতন সূত্র আবিস্কার করেছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ম খা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হুক্কাহুয়াবেদক
পদার্থবিদ্যার এক জটিল সূত্র উদ্ভাবন করে নুবেল বাজিমাৎ করার উপক্রম করেছেন বাংলাদেশের প্রতিভাবান বিজ্ঞানী মখা আলমগীর। বিশ্বের সমস্ত বাঘা বাঘা পদার্থবিদ মিলে এতোকাল যা পারেননি, তাই যেন করে দেখালেন ম খা আলমীগর। যে তত্ব গোপন ছিল এতোকাল- বছরের পর বছর ধরে বহু গবেষণা করে তাই বের করেছেন সাবেক তঘমায়ে পাকিস্থান, রাজাকারে* খাস- এই মহান বিজ্ঞানী। অথচ সারা জীবনে তিনি বিজ্ঞান পড়ার সুযোগ পান নাই। বিজ্ঞান পড়ার সুযোগ না হলে কি হবে- এই তঘমায়ে পাকিস্থানের ভেতর ঠিকই লুকিয়ে ছিল জলন্ত প্রতিভা। আর তাই ঠিকরে বেরিয়ে পড়েছে পড়ন্ত যৌবনে এসে।

ম খা বহু গবেষণা করে আবিস্কার ও প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, কোন একটি বহুতল ভবন ধ্বসে পড়ার হার সেই ভবনে প্রযুক্ত মৌলবাদী বিরোধী কর্মীদের নাড়াচাড়ার বর্গের সমানুপাতিক। মখা জানানা দীর্ঘদিন ধরে এই সূত্র আবিস্কার বিষয়ে গবেষণা করে আসছিলেন। কিন্তু সাফল্য তাকে ধরা দিচ্ছিলো না। হঠাৎই ২৪ এপ্রিল তারিখে মৌলবাদী বিএনপি’র কিছু গোয়ার কর্মী রানা প্লাজা নামক ভবন নাড়াচাড়া করে ফেলে দেওয়ার পর তার সূত্র আবিস্কারের পথটি পরিস্কার হয়ে যায়। তার সমস্ত সাধনা সাফল্য হিসেবে ধরা দেয়। তিনি প্রমাণ করে দেখিছেন, কোন একটি ভবন ধ্বসে পড়ার জন্য মৌলবাদী বিএনপি’র অশূভ শক্তি দায়ী।তার এই সূত্র The Theory of Horizontal Shaking বা ম খা’র উলম্ব নাড়াচাড়া সূত্র নামে পরিচিত হবে।

Theory_Of_Horizontal_Shaking

ম খা’র নাড়াচাড়া সূত্র

সমালোচকরা বলছেন, ম খার এই আবিস্কার পদার্থ বিদ্যার ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিতে বাধ্য। পদার্থবিদ্যার ইতিহাসে এ এক যুগান্তকারী আবিস্কার। ইতিপুর্বে অ্যারিস্টটল, নিউটন, প্যাসকেল, গ্যালিলিওসহ বহু বিজ্ঞানী পদার্থবিদ্যা নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন। তারা আবিস্কার করেছেন বহু নূতন নূতন সূত্র। কিন্তু ম খা যা আবিস্কার করেছেন, তা একদমই আনকোড়া। ম খার এ আবিস্কার মৌলিকত্বের দাবী রাখে। ম খা যা আবিস্কার করেছেন- ইতিপূর্বে কোন বিজ্ঞানী কেন- কোন বিজ্ঞানীর বাপও তা আবিস্কারের চিন্তা করতে পারেন নাই।

Mohiuddin_Khan_Alamgir0101

নিজের আবিস্কৃত সূত্রের ব্যাখা দিচ্ছেন ম খা

বিজ্ঞানী ম খা’র এই নতূন সূত্র আবিস্কার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইংরেজি সাহিত্যে পড়ে বিজ্ঞানী হয়েছের এমন একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী জনাব আবুল মাল বলেন, ম খা’র এই আবিস্কার তেমন কিছু না। রাবিশ। ম খা’র চেয়ে বড় বড় সূত্র আমি আবিস্কার করে রেখেছি বহু আগে। কিন্তু পাব্লিক আমারে নুবেইল দেওয়ার কথা বলে না, বলে ম খা’র কথা। পাব্লিকে চায়, তাই আমি কিছু মনে করি নাই। মাল বলেন, যেহেতু পাব্লিক ডিমান্ড আছে, তাই আমরা সুইডেনে নুবেইল কমিটির সাথে যোগাযোগ  করবো। আমাদের বিজ্ঞানী মখা কর্তৃক আবিস্কৃত এই তত্ত্ব বিষয়ে নুবেইল কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। নুবেইল কমিটিকে বাধ্য করা হবে ম খা কে নুবেইল পুরস্কার দেওয়ার জন্য।

রাজাকার*- দেশপ্রেমিক