সন্ধ্যান মিলেছে মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা ড. মিজান গোপালপুরী’র

রাজনৈতিক হুক্কাহুয়াবেদক
রাস্তা-ঘাটে মানবধিকারের সবক ফেরি করে বিক্রি করাই যার পেশা, মানবাধিকার ফেরিওয়ালা হিসেবে ভীষণ বিখ্যাত ব্যক্তি ড. মিজানুর রহমান গোপালপুরীর সন্ধ্যান মিলেছে। গত ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা নামক ভবন ধ্বসের পর হঠাৎই সহফেরিওয়ালীদের সাথে নিরুদ্দেশ হয়ে যান সরদার-এ-মানবাধিকার ফেরিওয়ালা ড. মিজান গোপালপুরী। হ্যারিকেন, টর্চ, হ্যাজাক, ফ্লাডলাইট কোন কিছুই জ্বেলেই যখন গত দের মাস ধরে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না- সমগ্র জাতি যখন ড. মিজান গোপালপুরীর ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিয়ে উদ্ধিগ্ন, উৎকণ্ঠিত-  তখন অনেকটা অপ্রত্যাশিত ভাবে আবার হঠাৎই যেন জলের অতল তলের ডুব থেকে উপরিভাগে ভেসে ওঠলেন ড. মিজান গোপালপুরী। গত বৃহস্পতিবার মানবাধিকার শো রুমে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের ‘নিরুদ্দেশ’ থাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ড. মিজান গোপালপুরী।

Mizanur-NHRC

‘আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় শীতনিদ্রায় ছিলাম’

জানা গেছে ড. মিজান গোপালপুরীর স্বাস্থ্য ভালো আছে এবং তিনি যথেস্ট স্বাচ্ছন্দের সাথেই এখন নিশ্বাস নিতে পারছেন। ‘এতোদিন কোথায় ছিলেন’- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. মিজান গোপালপুরী জানান, অসময়ে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় তিনি স্বেচ্ছায় শীত নিদ্রা বেছে নিয়েছিলেন। গত ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা নামক ভবন ধ্বসের পর আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে এবং ড. মিজান গোপালপুরী পরিবর্তিত আবহাওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। তাই গত দের মাস তিনি নিদ্রিত অবস্থায় প্রতিকূল আবহাওয়াকে এড়িয়ে চলেছেন। ভালো নিদ্রার জন্য তিনি এসময় তার নাসিকা গহ্বরে গোপালগঞ্জে প্রস্তুত খাঁটি সরিষার তৈল ব্যবহার করেছেন বলে জানান তিনি।

গত দের মাসের পূর্ণ বিশ্রামে ড. মিজান গোপালপুরীর গোফ, চোয়াল ও স্বাস্থের প্রভৃত উন্নতি লাভ হয়েছে। ড. মিজান গোপালপুরী এক প্রশ্নের জবাবে আশা প্রকাশ করে বলেন, অতীতের যে কোন সময় থেকে এখন তার চোয়াল ও গোফ বেশী শক্তিশালী। তাই তিনি এখন থেকে আরো জোড়ে তার চাপা চালাতে পারবেন।

Leave a comment