Archive for May, 2013

May 29, 2013

লালবাগে দুই কুকুরের কামড়াকামড়িতে সাবেক কুকুর নেতার মৃত্যু

নিজস্ব হুক্কাহুয়াবেদক
গতাকাল রাজধানীর লালবাগে দুই কুকুরের কামড়া-কামড়িতে একটি কুকুরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। জানা যায় মৃত কুকুরটি ঐ এলকায় পূর্বে প্রভাবশালী কুকুর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। কিন্তু সম্প্রতি একই এলকায় অন্য একটি কুকুর প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘন্টা আগে হত্যাকারী কুকুরটি সাবেক প্রভাবশালী কুকুরকে এলকা ছেড়ে না দিলে এবং চান্দা না দিলে কামড়িয়ে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এতে সাবেক প্রভাবশালী কুকুরটি ভয় পেলেও নিজের সাবেক প্রভাব-প্রতিপত্তি দিয়েই এই হুমকিকে মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এতেই এতো বড় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে যায়।

Image

একটি সুন্দর কুকুর

ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে জানা যায় হত্যাকারী কুকুরটি তার অনুগত কুকুর বাহিনী নিয়ে গতকাল বেলা ১১ টায় লালবাগে সাবেক প্রভাবশালী কুকুরের আস্তানায় এসে তার ওপর এলোপাতারি কামড়াতে থাকে। এতে করে কুকুরটির ব্যাপক রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সহৃদয় জনতা কুকুরটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুকুরটিকে মৃত ঘোসণা করেন।

এ ব্যাপারে এখনো কোন মামলা হয় নি। লালবাগ থানার ওসিকে হুক্কাহুয়াবেদক এ ব্যাপারে  জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ঘটনা সম্পর্কে তারা জেনেছেন ঘটনা ঘটার দুই ঘন্টা পরে। তাই এখানে তাদের কিছুই করার ছিল না। মামলা হবে কিনা প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, পুলিশ এ ব্যাপারে খোজ-খবর নিচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে মামলা হবে।

May 28, 2013

সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই যুবলীগ নেতা খুন

নিজস্ব হুক্কাহুয়াবেদক
গতকাল বগুড়ায় অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার বাসায় যুবলীগের ২ নেতা খুন হয়েছেন। হুক্কা হুয়া নিউজ নেটওয়ার্কের সদস্য জনকণ্ঠ স্টাফ রিপোর্টার জানতে পেরেছেন এটি ছিল একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ হত্যাকান্ড। এই হত্যাকান্ড সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ায় জনকন্ঠ সংবাদটিকে পেছনের পাতায় ২ কলাম হেডিং দিয়ে প্রকাশ করেছে। হত্যাকান্ডটি কারা ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে জনকণ্ঠ জানাচ্ছে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে ‘সন্ত্রাসী’রা। কুপিয়ে হত্যাকান্ড ঘটলেও এখানে কোন তান্ডব ঘটেনি বলে জানায় জনকণ্ঠ।

20_1060

সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে খুন হওয়া মজনু ও নাহিদ হাসান (বা থেকে)

এদিকে হত্যাকান্ডের মোটিভের ব্যাপারে সমকাল পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে হত্যাকান্ডটি কারা ঘটিয়েছে এবং কি উদ্দেশ্য ছিল তা এখনো জানা যায় নি। তবে, হত্যাকান্ডটি ‘সন্ত্রাসী’রা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছে সমকাল। যেহেতু এটি একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ হত্যাকান্ড ছিল, তাই সমকালও খবরটিকে পেছনের পাতায় ২ কলামে ছেপেছে।

হত্যাকান্ডের ব্যাপারে হুক্কা হুয়া পরিবারের অন্যতম সদস্য The Daily Star এখনো কিছু জানতে পারেনি। তাই তারা এই ব্যাপারে কোন রিপোর্ট করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। হুক্কাহ হুয়া পরিবারের অপর সদস্য দৈনিক প্রথম আলো জানিয়েছে চাঁন্দাবাজির টাকা-পয়সার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ আলোচনার এক পর্যায়ে ‘সন্ত্রাসী’রা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে হুক্কা হুয়া পরিবারের ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ’মতি কি আমার থেকে ইংরেজি বেশী বুঝে?’

May 27, 2013

তারেক রহমানের গুপ্তকেশ উৎপাটন করবে সরকার: ম খা

রাজনৈতিক হুক্কাহুয়াবেদক
তারেক রহমানের গুপ্তকেশ উৎপাটনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল মন্ত্রীসভার এক বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।  সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ব্রিফিং করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ম খা আলমগীর। তিনি বলেন, “বাংলাদেশর সংবিধানের একটি সুষ্পষ্ট ধারা মতে কোন ব্যক্তি তার গুপ্ত কেশ ২ ইঞ্চির বেশী লম্বা রাখতে পারেন না। সরকার গোপন সূত্রে জানতে পেরেছে, তারেক রহমান গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানকালে তার গুপ্তকেশ কামান নাই। ফলে তার গুপ্তকেশ কমপক্ষে একফুট দৈর্ঘ্য অতিক্রম করেছে। তার এই সুদীর্ঘ গুপ্তকেশ বৃহত্তর আওয়ামী মুসলিম লীগের হিন্দু শাখা ও বৃহত্তর জামাতের সাবেক মিত্র আওয়ামী লীগের চেতনা ব্যবসার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরুপ।  এছাড়া  এটি যুদ্ধাপরাধের বিচারকেও বাঁধাগ্রস্ত করতে পারে।” সরকার মনে করে তারেক রহমানের গুপ্তকেশের দৈর্ঘ্য বাড়তে থাকলে তা সরকারের জন্য বিড়াট হুমকি হয়ে দাড়াতে পারে। ‘তাই সরকার তারেক রহমানের গুপ্তকেশ উৎপাটনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে’, বলেন, ম খা আলমগীর।

Image

হাস্যেজ্জল মুখে সরকারের গুপ্তকেশ নিধন সিদ্ধান্ত জানান ম খা আলমগীর

ওদিকে হুক্কাহুয়া নিউজ নেটওয়ার্কের অন্যতম সদস্য দ্যা ডেইলি স্টার জানিয়েছে  তারেক রহমান তার গুপ্তকেশ ২ ইঞ্চির বেশী লম্বা রাখবেন না প্রতিশ্রুতি দিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান। সম্প্রতি তারেক রহমান তার সেই অবস্থান থেকে সরে এসে সরকারকে তার দীর্ঘ গুপ্তকেশ প্রদর্শন করেন। তারেক রহমানের এই কেশ দেখে অন দ্যা স্পষ্ট অজ্ঞান হয়ে যান মন্ত্রীসভার কয়েকজন ডাক সাইটে মন্ত্রী, এমন কি আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। তাদের মধ্যে সারা জীবন ভোটে জামানত খোয়ানো কিন্তু আওয়ামী লীগের নৌকায় চড়ে একলাফে মন্ত্রী হওয়া দু’জন প্রতিক্রিয়াশীল বাম রাজনৈতিক নেতাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এই ঘটনার পরপরই সরকারে উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে মন্ত্রী সভার বৈঠক আহবান করা হয়। মন্ত্রী সভার এই বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তারেক রহমানের গুপ্তকেশকে আর বাড়তে দেবে না সরকার। যে কোন মূল্যে তারেক রহমানের গুপ্তকেশ ঠেকানোর কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মন্ত্রীসভা।