June 6, 2013

বাংলাদেশে ইনল্যান্ড কন্টেইনার পোর্ট নির্মান করিবে কেন্দ্রীয় সরকার

আন্তর্জাতিক হুক্কাহুয়াবেদক
ভারতের দক্ষিণ-পুর্বাঞ্চলী গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য বাংলাদেশে ইনল্যান্ড কন্টেইনার পোর্ট নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। গত মাসের শেষের দিকে এই বিষয়ে ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের দপ্তর দিল্লী টাইমস পত্রিকায় সংক্রান্ত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়াছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হইয়াছে ভারতের পুর্বাঞ্চলী রাজ্য বাংলাদেশের নায়ায়নগঞ্জে ইনল্যন্ড কন্টেইনার পোর্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আগ্রহী প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকগণই কেবল সম্ভাব্যতা যাচাই টেন্ডারে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন বলিয়া জানানো হইয়াছে। যাহারা টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিটি দিল্লী টাইমস পত্রিকা হইতে সংগ্রহ করিতে পারেন নাই, তাহাদিগকে ভারত সরকারের ওয়েব সাইট হইতে সংগ্রহ করিতে বলা হইয়ছে।

Inida

কেন্দ্রীয় সরকারের ইনল্যান্ড পোর্ট নির্মানের টেন্ডার আহ্বান

এইদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে এখনো অন্ধকারে রহিয়াছে রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, ও জলসম্পদ মন্ত্রী। জলসম্পদ মন্ত্রী শ্রী শাহজাহান চন্দ্রকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাস করা হইলে মন্ত্রী বলিয়াছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে তাহাকে কিছুই জানায় নাই কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশমন্ত্রী শ্রী দিপু মনিপুরীও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু জানিবার কথা অস্বীকার করিয়াছেন।

ওদিকে গতকাল রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্ট নির্মানের সিদ্ধান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকার অন্ধকারে কেন- এই বিষয়ে তুমুল বির্তক হইয়াছে। বিতর্কে অংশ নিয়াছেন রাজ্য সরকারের প্রভাবশালী সভাসদ শ্রী তোফায়েল চৌধুরি ও বিরোধী জোটের সভাসদ শ্রী মওদুদ মোহাম্মদ আহম্মদ। বিরোধী জোটের সভাসদ শ্রী মওদুদ মোহাম্মদ আহম্মদের অভিযোগের জবাবে রাজ্যসরকারের সভাসদ শ্রী তোফায়েল চৌধুরি বলিয়াছেন, আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের যে কোন সিদ্ধান্তের বিষয়ে বরাবরই আপনাদের চুলকানি ছিল, এখনো রহিয়াছে; অথচ আমাদের আজন্ম শত্রু চীন যদি আমাদের রাজ্যের কোন ক্ষতি সাধণ করিতে আসে- তখন আপনারা বরাবরই চুপ করিয়া থাকেন। এতেই প্রমাণিত হয় আপনারা চীনপন্থী, রাজ্যের শত্রু। আপনাদেরকে রাজ্যের মানুষ আগামী নির্বাচনে ভোট দিবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের আশীর্বাদে রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আছে, ক্ষমতায় থাকবে। রাজ্যের যা কিছু উন্নতি- তা কেন্দ্রীয় সরকারের হাত ধরিয়াই করিবে, দ্ব্যর্থকন্ঠে বলিয়াছেন শ্রী তোফায়েল চৌধুরি।

June 6, 2013

সন্ধ্যান মিলেছে মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা ড. মিজান গোপালপুরী’র

রাজনৈতিক হুক্কাহুয়াবেদক
রাস্তা-ঘাটে মানবধিকারের সবক ফেরি করে বিক্রি করাই যার পেশা, মানবাধিকার ফেরিওয়ালা হিসেবে ভীষণ বিখ্যাত ব্যক্তি ড. মিজানুর রহমান গোপালপুরীর সন্ধ্যান মিলেছে। গত ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা নামক ভবন ধ্বসের পর হঠাৎই সহফেরিওয়ালীদের সাথে নিরুদ্দেশ হয়ে যান সরদার-এ-মানবাধিকার ফেরিওয়ালা ড. মিজান গোপালপুরী। হ্যারিকেন, টর্চ, হ্যাজাক, ফ্লাডলাইট কোন কিছুই জ্বেলেই যখন গত দের মাস ধরে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না- সমগ্র জাতি যখন ড. মিজান গোপালপুরীর ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিয়ে উদ্ধিগ্ন, উৎকণ্ঠিত-  তখন অনেকটা অপ্রত্যাশিত ভাবে আবার হঠাৎই যেন জলের অতল তলের ডুব থেকে উপরিভাগে ভেসে ওঠলেন ড. মিজান গোপালপুরী। গত বৃহস্পতিবার মানবাধিকার শো রুমে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের ‘নিরুদ্দেশ’ থাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ড. মিজান গোপালপুরী।

Mizanur-NHRC

‘আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় শীতনিদ্রায় ছিলাম’

জানা গেছে ড. মিজান গোপালপুরীর স্বাস্থ্য ভালো আছে এবং তিনি যথেস্ট স্বাচ্ছন্দের সাথেই এখন নিশ্বাস নিতে পারছেন। ‘এতোদিন কোথায় ছিলেন’- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. মিজান গোপালপুরী জানান, অসময়ে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় তিনি স্বেচ্ছায় শীত নিদ্রা বেছে নিয়েছিলেন। গত ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা নামক ভবন ধ্বসের পর আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে এবং ড. মিজান গোপালপুরী পরিবর্তিত আবহাওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। তাই গত দের মাস তিনি নিদ্রিত অবস্থায় প্রতিকূল আবহাওয়াকে এড়িয়ে চলেছেন। ভালো নিদ্রার জন্য তিনি এসময় তার নাসিকা গহ্বরে গোপালগঞ্জে প্রস্তুত খাঁটি সরিষার তৈল ব্যবহার করেছেন বলে জানান তিনি।

গত দের মাসের পূর্ণ বিশ্রামে ড. মিজান গোপালপুরীর গোফ, চোয়াল ও স্বাস্থের প্রভৃত উন্নতি লাভ হয়েছে। ড. মিজান গোপালপুরী এক প্রশ্নের জবাবে আশা প্রকাশ করে বলেন, অতীতের যে কোন সময় থেকে এখন তার চোয়াল ও গোফ বেশী শক্তিশালী। তাই তিনি এখন থেকে আরো জোড়ে তার চাপা চালাতে পারবেন।

June 5, 2013

ম্যাচ ফিক্সিং বৈধ করা হোক: শ্রীশান্ত

খেলাধুলা হুক্কাহুয়াবেদক
ভারতীয় আইডল, ক্রিকেটের যীশুখ্যাত  শ্রীশান্ত দৈনিক হুক্কাহুয়ার সাথে এক একান্ত স্বাক্ষাৎকারে বলেছেন, ম্যাচ ফিক্সিং বৈধ করা হোক। তিনি বলেন, “আমরা বহু কষ্ট কইরা খেলি, কয়টা টাকা-ট্যুকার জন্যই খেলি। ম্যাচ ফিক্সিং হইলো অভার টাইমের মতোন; ডিউটির বাইরে ডিউটি করলে, যদি আলাদা টেকাট্যুকা পাওন যায়, তাইলে ম্যাচ ফিক্সিং কইরা পয়সা নিতে কি দুষ? ম্যাচ ফিক্সিং কইরা দুইটা পয়সা বেশী পকেটে তুলতে পারলে আমাগোই লাভ, তাতে কার কি ক্ষতি?”

‘টেকাট্যুকার জন্য খেলি’

শ্রীশান্ত আবেঘণ কন্ঠে বলেন, ”আমি বিয়া করছি, বৌ-সংসার আছে। ভবিষ্যতে পোলাপান হইবো। ভবিষ্যতের চিন্তা কইরা দুইটা পয়সা জমানোর দরকার আছে। আবার বৌয়ের আবদার আছে সামানে মাসে আম্রিকা-দুবাইতে শপিংয়ে যাইতে হইবো। ২২ ক্যারেটের ৪০ ভরি সোনার গহনা কিন্যা দিতে হইবো। হীরার লকেট লাগবো। দিল্লীতে একটা বাড়ী কিন্যা দিতে হইবো। দার্জিলিংয়ে একটা বাগানবাড়ী লাগবো- এতোসব কিছু করতে কি টেকাট্যুকা লাগে না? খেলাধুলা কইরা আর কয় টেকা পাই? আমি যদি ম্যাচ ফিক্সিং কইরা দুইটা পয়সা বেশী কামাইতে পারি, তাইলে কার কি ক্ষতি?”

শ্রীশান্ত বলেন, “অজিত চান্দেলা, অঙ্কিত চাওয়ান, আশরাফুল ওরা সবাই আমার ধর্মভাই। ওরা ম্যাচ ফিক্সিং কইরা কুন অন্যায় করে নাই। আমি আইসিসিকে বলতে চাই, ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংকে ‘অভার টাইম’ হিসেবে বৈধ ঘোসণা করা হোক। ওভারে কয় রান দেওয়া হইবো, তা খেলোয়ারগো ব্যাপার, এইডা খেলোয়ারগো হাতেই ছাইড়া দেওয়া হোক। হুদাই ম্যাচ ফিক্সিংরে অবৈধ কইয়া আমাগোর রুটি-রুজির ওপর এমুন আঘাত হানা বন্দ করা হউক।”

June 3, 2013

সরকারের ধূতি ধরিয়া টানাটানি করা ফৌজদারী অপরাধ: ইনু

রাজনৈতিক হুক্কাহুয়াবেদক
যৌবনে বৃহত্তর আওয়ামী মুসলিম লীগের ব্রাহ্ম শাখা- আওয়ামী লীগের লুঙ্গি ধরিয়া টানাটানি করিয়া ঝানু টানবাজিকর; জাতীয় নির্বাচনে জামানত খোয়াইবার জাতীয় রেকর্ডের ব্ল্যাকবেল্ট রেকর্ডধারী এবং আওয়ামী লীগের  নৌকায় চড়িয়া একলাফে মন্ত্রী বণিয়া যাওয়া ওয়ানম্যান পার্টির বিশিষ্ট বাম প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতিবিদ ইনু ইবনে চিনু বলিয়াছেন, সরকারের ধূতি ধরিয়া টানাটানি করা একটি ফৌজদারী অপরাধ। তিনি বলিয়াছেন, মাহমুদুর রহমান সরকারের ধূতি ধরিয়া টান দিয়াছেন, ইহা একটি দন্ডযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ।

Image

মাহমুদুর রহমান সরকারের ধূতি ধরে টানাটানি করেছেন: ইনু ইবনে চিনু

ইনু ইবনে চিনু বলিয়াছেন, “সরকার বহু গৃহপালিত সাংবাদিক- সম্পাদক লালন-পালন করিয়া থাকে। সরকার কর্তৃক গৃহপালিত সাংবাদিক-সম্পাদকগুলি যথেস্ট আদব-কায়দা শিখিয়াছে- উহারা আদব-কায়দা মানিয়া চলে। সরকারের চাহিদামত সকল জাতীয় ইস্যুতে আমাদিগের গৃহপালিত সাংবাদিক-সম্পাদকগুলি দিনে-রাতে হুক্কা হুয়া ডাকিয়া সরকারকে ধন্য করিয়া থাকে। কিন্তু এই মাহমুদুর একটা গোয়ার প্রকৃতির লোক। এই লোক সরকারের ডাকে সারা দিয়া কখনোই হুক্কা-হুয়া ডাকিতে প্রবৃত্ত হন নাই। বরং লোকটি সরকারের ধুতি ধরিয়া টানাটানি করিয়াছে। সরকার যতোই এই ব্যাক্তিটিকে বশ করিতে চাহিয়াছে, লোকটি ততোই সরকারের ধুতি ধরিয়া টানাটানি করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে। লোকটি কোন ভাবেই বশে আসিতি চাহে নহে। তাহাকে বশে আনিবার নিমিত্তে সরকার চেষ্টার কোন ত্রুটি করে নাই।

সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হইয়াছে। আমরা তাহার বিরুদ্ধে মামলা করিয়াছি, গৃহপালিত পুলিশ দিয়া হামলা  করিয়াছি- তাহার পরও সে ক্ষ্যান্ত হয় নাই। সরকারের ধুতি ধরে টানাটানি অব্যাহত রাখিয়াছে। আমাদিগের পশ্চাদ্দেশে পাব্লিকের গদাম দিবার বেবস্থা করিয়াছে।” ইনু ইবনে চিনু আরো বলিয়াছেন, “সরকার কর্তৃক প্রযোজিত ও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল অভিনীত এপিসোডের সব গুপন তথ্য ফাঁস করিয়া দিয়াছে এই মাহমুদুর। আমি তথ্য মন্ত্রী হইয়া বসিয়া বসিয়া আঙ্গুল চুষিয়াছি। ইহা তো অনির্দিষ্টকাল ধরিয়া চলিতে পারে না, আমাদিগের পশ্চাৎদ্দেশেরও তো একটা সহ্য সীমা রহিয়াছে।”

“মাহমুদুর আমাদিগের সকল সহ্যের সীমা ভাঙ্গিয়া দিয়াছে। মাহমুদুরের মতো এতো পাঁজি সম্পাদক আর একটাও জগতে নাই। যেহেতু মাহমুদুর সরকারের ধুতি ধরিয়া টান দিয়াছে, এবং ইহা একটি শাস্তিযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ, তাই সরকার মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করিয়াছে,” বলিয়াছেন ইনু ইবনে চিনু।

May 29, 2013

লালবাগে দুই কুকুরের কামড়াকামড়িতে সাবেক কুকুর নেতার মৃত্যু

নিজস্ব হুক্কাহুয়াবেদক
গতাকাল রাজধানীর লালবাগে দুই কুকুরের কামড়া-কামড়িতে একটি কুকুরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। জানা যায় মৃত কুকুরটি ঐ এলকায় পূর্বে প্রভাবশালী কুকুর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। কিন্তু সম্প্রতি একই এলকায় অন্য একটি কুকুর প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘন্টা আগে হত্যাকারী কুকুরটি সাবেক প্রভাবশালী কুকুরকে এলকা ছেড়ে না দিলে এবং চান্দা না দিলে কামড়িয়ে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এতে সাবেক প্রভাবশালী কুকুরটি ভয় পেলেও নিজের সাবেক প্রভাব-প্রতিপত্তি দিয়েই এই হুমকিকে মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এতেই এতো বড় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে যায়।

Image

একটি সুন্দর কুকুর

ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে জানা যায় হত্যাকারী কুকুরটি তার অনুগত কুকুর বাহিনী নিয়ে গতকাল বেলা ১১ টায় লালবাগে সাবেক প্রভাবশালী কুকুরের আস্তানায় এসে তার ওপর এলোপাতারি কামড়াতে থাকে। এতে করে কুকুরটির ব্যাপক রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সহৃদয় জনতা কুকুরটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুকুরটিকে মৃত ঘোসণা করেন।

এ ব্যাপারে এখনো কোন মামলা হয় নি। লালবাগ থানার ওসিকে হুক্কাহুয়াবেদক এ ব্যাপারে  জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ঘটনা সম্পর্কে তারা জেনেছেন ঘটনা ঘটার দুই ঘন্টা পরে। তাই এখানে তাদের কিছুই করার ছিল না। মামলা হবে কিনা প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, পুলিশ এ ব্যাপারে খোজ-খবর নিচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে মামলা হবে।

May 28, 2013

সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই যুবলীগ নেতা খুন

নিজস্ব হুক্কাহুয়াবেদক
গতকাল বগুড়ায় অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার বাসায় যুবলীগের ২ নেতা খুন হয়েছেন। হুক্কা হুয়া নিউজ নেটওয়ার্কের সদস্য জনকণ্ঠ স্টাফ রিপোর্টার জানতে পেরেছেন এটি ছিল একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ হত্যাকান্ড। এই হত্যাকান্ড সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ায় জনকন্ঠ সংবাদটিকে পেছনের পাতায় ২ কলাম হেডিং দিয়ে প্রকাশ করেছে। হত্যাকান্ডটি কারা ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে জনকণ্ঠ জানাচ্ছে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে ‘সন্ত্রাসী’রা। কুপিয়ে হত্যাকান্ড ঘটলেও এখানে কোন তান্ডব ঘটেনি বলে জানায় জনকণ্ঠ।

20_1060

সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে খুন হওয়া মজনু ও নাহিদ হাসান (বা থেকে)

এদিকে হত্যাকান্ডের মোটিভের ব্যাপারে সমকাল পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে হত্যাকান্ডটি কারা ঘটিয়েছে এবং কি উদ্দেশ্য ছিল তা এখনো জানা যায় নি। তবে, হত্যাকান্ডটি ‘সন্ত্রাসী’রা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছে সমকাল। যেহেতু এটি একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ হত্যাকান্ড ছিল, তাই সমকালও খবরটিকে পেছনের পাতায় ২ কলামে ছেপেছে।

হত্যাকান্ডের ব্যাপারে হুক্কা হুয়া পরিবারের অন্যতম সদস্য The Daily Star এখনো কিছু জানতে পারেনি। তাই তারা এই ব্যাপারে কোন রিপোর্ট করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। হুক্কাহ হুয়া পরিবারের অপর সদস্য দৈনিক প্রথম আলো জানিয়েছে চাঁন্দাবাজির টাকা-পয়সার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ আলোচনার এক পর্যায়ে ‘সন্ত্রাসী’রা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে হুক্কা হুয়া পরিবারের ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ’মতি কি আমার থেকে ইংরেজি বেশী বুঝে?’